ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে আবারও পুরো শক্তি নিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তার দেশ।   এক হুঁশিয়ারি মূলক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আলোচনা চলবে শুধু লড়াইয়ের মাঝখানে এবং স্পষ্ট করে দেন, এ তো কেবল শুরু। এমন সময় এই বক্তব্য এল, যখন ইসরাইলি বিমানবাহিনী গাজায় ব্যাপক হারে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, হামাসের বিভিন্ন স্থাপনা ও লক্ষ্যবস্তুর উপরই ছিল এসব হামলা।   হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও অনেক মানুষ।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রায় প্রতিদিনই গাজায় হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল বাহিনী। এসব হামলায় হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। রোববার (১৬ মার্চ) গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫১ জন মানুষ। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। তাই হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এছাড়াও গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা শুরু হলে আমেরিকান-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস। তবে প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করেছে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।  হামাস জানায়, তারা নিউ জার্সির বাসিন্দা ২১ বছর বয়সি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এডান আলেকজান্ডার ইসরাইলি সেনবাহিনীর একজন সৈনিক।  তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবকে ‘কারচুপি এবং মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পথ খুঁজে বের করতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা হওয়ার পর এবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে বৈঠক আয়োজন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব।     সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, জেদ্দায় আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিবৃতিতে সৌদি সরকার জানায়, ইউক্রেনে দীর্ঘ-মেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা এই আলোচনাকে স্বাগত জানাচ্ছে।