ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৫টার পর ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঠ করেন, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গনঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে। এতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা স্তরের মানুষ। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জুলাই শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালিত হয়।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গতানুগতিক নয়, পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন দিতে হবে। আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত গণমিছিলের এই কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বে দলের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। গতকাল সোমবার (০৪ আগস্ট) রাতে গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে থাকবেন তিনি, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান।

আগামীকাল বিকাল ৫টায় উপস্থাপিত হতে যাচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এক সুধী সমাবেশে গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। গতকাল রোববার (০৩ আগস্ট) এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে গত শনিবার (০২ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করেছে। ‘ জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে সারাদেশের ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৮ জোড়া (১৬টি) বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে সরকার। এসব ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষ ঢাকায় আসবেন। অনুষ্ঠান শেষে আবার একই ট্রেনে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন তারা। সরকারের ভাড়া করা ৮ জোড়া (১৬টি) ট্রেনের সময়সূচি—